ঈদুল আজহা উপলক্ষে নির্ধারিত গরুর হাটে যাওয়ার পথে কোনো গরুবাহী ট্রাক মাঝপথে থামানো হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার ঈদ ঘিরে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “প্রতি বছরই দেখা যায় গরুর হাটে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এ বছর আমরা আগেভাগেই কঠোর অবস্থানে যাচ্ছি। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে গরুবাহী ট্রাক নির্ধারিত হাটে যাচ্ছে—এমন স্পষ্ট তথ্য ট্রাকের সামনে থাকতে হবে। মাঝপথে কোথাও গরু নামানো যাবে না।”
তিনি আরও জানান, “সব হাটেই আনসার মোতায়েন থাকবে। কোথাও ৭৫ জন, কোথাও প্রয়োজন অনুযায়ী কম-বেশি। পাশাপাশি, প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি চিকিৎসক থাকতে হবে, যেন অসুস্থ গরু বিক্রি না হয়। এছাড়া, গরুর আঘাতে কেউ আহত হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য ফাস্টএইডের ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হবে।”
হাসিল (হাট ফি) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ বছর শতকরা ৫ টাকা হারে হাসিল কার্যকর থাকলেও, আগামী বছর থেকে এটি হবে ১০০ টাকায় ৪ টাকা। টেন্ডার চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় এবার আর পরিবর্তন করা যায়নি।”
তিনি জানান, “ঈদের ৫ দিন আগে থেকে নদীপথে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের পর আরও ৩ দিন এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। রাতের বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।”
সবমিলিয়ে, ঈদে গরুর হাটে শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার এবার আগেভাগেই কঠোর অবস্থান নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।