জমির কাগজপত্রে ভুল পাওয়া গেলে অনেকেই আতঙ্কে পড়ে যান। খতিয়ানে নামের বানান ভুল, জমির দাগ নম্বরে গড়মিল, বা পূর্ববর্তী মালিকানা সংক্রান্ত অসামঞ্জস্য – এসব ভুল ভবিষ্যতে বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। তবে এখন আর এসব সংশোধনে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয় না। সরকারের নতুন ডিজিটাল পদ্ধতিতে একদিনেই রেকর্ড সংশোধনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ভূমি ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিনির্ভর এই রূপান্তরের ফলে সাধারণ মানুষ আগের তুলনায় অনেক সহজে তাদের রেকর্ড সংশোধন করতে পারছেন। সময় বাঁচার পাশাপাশি দুর্নীতির সুযোগও কমে এসেছে। ফলে দেশের ভূমি সেবায় এক ধরনের স্বচ্ছতা এসেছে, যা আগে কল্পনাও করা যেত না।
যদি কেউ খতিয়ানে কোনো ভুল বা অসামঞ্জস্য দেখতে পান, তবে ‘মিস কেস’ নামে পরিচিত একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েই সংশোধনের পথ খুলে যায়। এ জন্য সাদা কাগজে হাতে লেখা একটি দরখাস্ত করতে হয় এবং ২০ টাকার কোর্ট ফি সংযুক্ত করতে হয়। এই আবেদন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর দাখিল করতে হয়।
আবেদনের সঙ্গে জমির মালিকানার প্রমাণপত্র, বর্তমান খতিয়ান, সংশ্লিষ্ট দাগ নম্বর এবং পূর্ববর্তী রেকর্ডের অনুলিপি সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক। এসব কাগজপত্র সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হলে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস থেকে একই দিনে রেকর্ড সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সরকারের ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার আওতায় এখন আর দিনের পর দিন অফিসে গিয়ে ঘুরতে হয় না। সেবাপ্রার্থীরা একটি মাত্র আবেদন দিয়েই কাঙ্ক্ষিত সমাধান পাচ্ছেন, যা আগে ছিল কল্পনার বাইরে।
যদি কোনো মালিকানায় সমস্যা দেখা দেয় বা কারও নাম ভুলক্রমে কেটে গিয়ে অন্য কারও নামে রেকর্ড হয়ে যায়, তবু এই নতুন নিয়মে দ্রুত সমাধান মিলছে। ফলে জমির স্বত্ব নিশ্চিত করা আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়ে গেছে।
এখন ভূমি সংক্রান্ত যেকোনো ভুল সংশোধনে আর দুশ্চিন্তার কিছু নেই। প্রয়োজন শুধু সচেতনভাবে কাগজপত্র প্রস্তুত করা এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা। এতে সময়, অর্থ ও মানসিক চাপ—সবই বাঁচানো সম্ভব।
তাই জমির রেকর্ডে কোনো ভুল চোখে পড়লেই দেরি না করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এখনই প্রক্রিয়া শুরু করুন, সমাধান পেতে দেরি হবে না।