ঈদগাহে গুলির ঘটনায় গ্রেপ্তার লালপুরে ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা

নাটোরের লালপুরে ঈদের নামাজ শেষে সংঘটিত গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি কদমচিলান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজিদুল ইসলাম (৫২)। তিনি উপজেলার শেকচিলান পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত ইয়াসিন আলীর পুত্র।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে লালপুর থানা পুলিশ। পরে বুধবার সকাল ১০টার দিকে তাকে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয় বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

লালপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঈদুল ফিতরের দিন রামকৃষ্ণপুর ঈদগাহ মাঠে সংঘটিত গোলাগুলির ঘটনায় দায়ের করা মামলার এক নম্বর আসামি হিসেবে মাজিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাকে আদালতে হাজির করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ ঈদের নামাজ শেষে রামকৃষ্ণপুর চিনি বটতলা ঈদগাহ এলাকায় “জয় বাংলা” স্লোগান ঘিরে দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে শরিফুল ইসলাম সুজাতসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন।

পরবর্তীতে শরিফুল ইসলাম সুজাতের পিতা মো. আরজেল আলী বাদী হয়ে লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এজাহারে গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগও উত্থাপিত হয়।

এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়ভাবে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার অন্যান্য অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

জমি, রাজনীতি কিংবা সামাজিক ঘটনা—সবক্ষেত্রেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে সক্রিয়, এই ঘটনাই যেন তার প্রমাণ। ঈদের মতো ধর্মীয় উৎসবের সময় এমন সহিংসতা যে কোনো সময় বড় ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে, তা-ও নতুন করে মনে করিয়ে দিল এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *